অক্সফোর্ডের করোনা টিকার চূড়ান্ত ট্রায়ালের পর অনুমোদন পর্যন্ত সব ঠিক থাকলে ভারতে ফেব্রুয়ারি থেকে সরবরাহ শুরু হবে। ফেব্রুয়ারিতে টিকা পাবেন স্বাস্থ্যকর্মী ও প্রবীণরা। এপ্রিলে সাধারণ জনগণকে টিকা প্রদান করা হবে। দুই ডোজ টিকার বাজার মূল্য ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ এক হাজার রুপি।
বৃহস্পতিবার ভারতের টিকা প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আদার পুনাওয়ালা এ তথ্য জানান।
তবে সিরাম ইনস্টিটিউডের সিইও জানান, সবকিছু নির্ভর করছে চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফল এবং অনুমোদনের উপর।
২০২৪ সালের মধ্যে সকল ভারতীয় টিকা পাবে জানান তিনি।
আদার পুনাওয়ালা বলেন, তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে ভারতের সকল জনগণকে টিকা দিতে। কারণ টিকা সরবরাহে লজিস্টিক সাপোর্ট, বাজেট, অবকাঠামো ও টিকা নিতে মানুষের আগ্রহ থাকতে হবে। এসব পূরণ হলে ৭০-৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্ভব।
বাজারে অন্য টিকার তুলনায় তারা সাশ্রয়ী দাম নির্ধারণ করেছে বলে জানান তিনি।
টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার টিকা প্রাপ্তয়স্কদের ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে তার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমদিকে যা ছিল উদ্বেগজনক। এখন পর্যন্ত কোন জটিলতা, খারাপ প্রতিক্রিয়া হয়নি। তবে সুরক্ষার জন্য আমাদের আরও অপেক্ষা করতে হবে।
ভারতে টিকার যেসব ট্রায়াল হয়েছে তার ফলাফল এক মাসের মধ্যে প্রকাশিত হবে-জানান তিনি।
পুনাওয়াল্লা জানান, অক্সফোর্ডের টিকা সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং দুই থেকে আট ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে। ভারতে সংরক্ষণ করার জন্য এটি আদর্শ তাপমাত্রা। এসআইআই ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিমাসে প্রায় ১০ কোটি ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে।
জুলাইয়ের মধ্যে ভারত প্রায় ৪০০ মিলিয়ন ডোজ টিকা চায়। তবে সেটা সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে সব কিনবে কিনা তা বলা যাচ্ছে না। পুনাওয়ালা জানান, ২০২১ সালের প্রথম ৬ মাসে অক্সফোর্ড টিকার ৩০-৪০ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে।
করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় ভারতের অবস্থান দ্বিতীয়। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ৯০ লাখ ৪ হাজার ৩৬৫ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৩২ হাজার ২০২ জন।