বাংলার আয়না

১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

Ad

কাপ্তাই হ্রদে ফুল ভাসিয়ে ‘বৈসাবি’ উৎসব শুরু

রাঙামাটি সংবাদদাতা
রাঙ্গামাটিতে কাপ্তাই হ্রদের জলে ভাসল বিজুর ফুল। এর মধ্য দিয়ে শুরু হল চট্টগ্রামে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীগুলোর সবচেয়ে বড় সামাজিক অনুষ্ঠান ‘বৈসাবি’র মূল আনুষ্ঠানিকতা।

দেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও রাঙ্গামাটির ১৪টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির মানুষ এখন বর্ষবরণ ও বিদায়ের এই উৎসবে মাতোয়ারা। ব্যস্ততা বেড়েছে শহর, নগর আর পাহাড়ি পল্লীগুলো।

অনুষ্ঠানের প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার সকালে শহরের কাপ্তাই হ্রদের পানিতে ফুল ভাসিয়ে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় ‘গঙ্গাদেবী’র কাছে প্রার্থনা করা হয়।
নতুন বছর বরণ উৎসব ত্রিপুরাদের কাছে বৈসুক, মারমাদের সাংগ্রাই এবং চাকমাদের কাছে বিজু নামে পরিচিত; এই তিন নামের প্রথম অক্ষর এক করেই হয়েছে ‘বৈসাবি’।

চাকমা রীতিতে এই ফুল ভাসানের নাম ‘ফুল বিজু’। ত্রিপুরারা বলে ‘হারি বৈসুক’। আর মারমা সম্প্রদায়ের কছে ‘সূচি কাজ’ নামে পরিচিত।

ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রাঙ্গামাটি শহরের রাজবনবিহার ঘাট, গর্জনতলী মধ্যদ্বীপ, কেরাণী পাহাড়সহ বিভিন্ন স্থানে বৈসু, বিষু, বিহু, চাংক্রান-২০২৪ উদযাপন কমিটি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে পানিতে ফুল ভাসানো হয়।

উৎসবপ্রিয় পাহাড়িরা সারা বছর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মেতে থাকলেও বর্ষবিদায়ের এই উৎসব সবকিছুকে ছাপিয়ে যায়।

উৎসবের প্রথম অংশ শুরু হয় নদীতে ফুল ভাসিয়ে। চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা প্রথমে বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করেন। পরে কলাপাতায় করে সেই ফুল আর নিমপাতা ভাসিয়ে দেন।
১৬ এপ্রিল মারমা জনগোষ্ঠির সাংগ্রাই জলোৎসবের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বর্ষবরণ ও বিদায়ের পুরো আয়োজন।

Scroll to Top