অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) ১২ লিটারের সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ বৈধ মূল্য আগের চেয়ে ৬৯ টাকা কমিয়ে ৯০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি মাসেই একবার দাম ঘোষণার ১৭ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এলপিজির সমন্বিত দাম নির্ধারণ করে। ১ মে থেকে নতুন এই দর কার্যকর হবে বলে বিইআরসি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, গত ১২ এপ্রিল ঘোষিত বিইআরসির আদেশের ৮.৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এপ্রিল মাসে সৌদি আরামকো কোম্পানির কন্ট্রাক প্রাইস বা সিপির পরিবর্তনের ওপর ভিত্তি করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। “এর সঙ্গে মূসকের শতাংশভিত্তিক প্রভাব ও মুদ্রার বিনিময় হারে কোনো পরিবর্তন আসলে সেটাও বিবেচনায় রেখেছে কারিগরি দল।” নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, এখন প্রতিকেজি এলপিজির দাম ঠিক করা হয়েছে ৭০ টাকা ৬৯ পয়সা। মূসকসহ মূল্য ৭৫ টাকা ৪৯ পয়সা। আগে মুসকসহ প্রতি কেজি এলপিজির দাম ছিল ৮১ টাকা ৩০ পয়সা।
দেশে প্রথমবারের মতো গণশুনানি করে ১২ এপ্রিল এলপিজির দাম নির্ধারণ করে সরকার। তখন ১২ কেজির বোতলের দাম ধরা হয়েছিল ৯৭৫ টাকা। তবে বাজারে এর বাস্তবায়ন ঘটায়নি কোম্পানিগুলো। সরকারি কোনো সংস্থা এর বাস্তবায়নের দায়িত্বও পালন করেনি। এলপিজির নতুন এই দর কার্যকরের বিষয়েও স্পষ্ট কোনো আশ্বাস দিতে পারেনি বিইআরসি।
কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, “সংশ্লিষ্ট ডিলার ও পরিবেশকদের তালিকা না থাকায় কারও বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারছি না। এই তালিকার জন্য আমরা বার বার বলে আসছি কোম্পানিগুলোকে। “তারপরেও কেউ যদি সুনির্দিষ্ট করে কারও বিরুদ্ধে বেশি মূল্যে এলপিজি বিক্রির অভিযোগ আনে আমরা ব্যবস্থা নেব।”