বাংলার আয়না

দু:খ : (একটি গবেষণা লব্দ প্রবন্ধ)

মনজুর-এ-আলম খান (তুহিন)

‘পৃথিবীর সমস্ত সৌন্দর্য অশ্রুর শিশিরে সিক্ত ।’ জার্মান দার্শনিক থিওডোর হাইক্যর – এঁর ‘জার্নাল ইন দা নাইট’ বইটিতে এই সুন্দর উক্তিটি পড়ে একটু থমকে গেলাম । মাথায় চলে এলো মেরিয়েন উইলিয়ামসনের কথা, ‘প্রত্যেক হৃদয়ের গভীরে রয়েছে এক গোপন কক্ষ যেখানে তার শ্রেষ্ঠতম সম্পদ ও গভীরতম বেদনা সংরক্ষিত থাকে ।’ তাহলে কি গভীরতম সুখ আর গভীরতম দুঃখ একই সাথে থাকে …!!! এজন্যই কি আনন্দ অশ্রুসিক্ত ? দু:খ-দর্শন রাজ্যে ঝড় উঠে…

অরুন্ধতীহোম চৌধুরীর ‘পলাশ দিঘির জলে’ গানটি কলেজে যখন প্রথম শুনি, তখন চোখে পানি এসে গিয়েছিলো। এক সন্তানহারা দু:খী মা, পলাশ দিঘিতে জ্বলন্ত প্রদীপ ভাসিয়ে সারা প্রহর অপেক্ষায় থাকে। কখন তার ডুবে যাওয়া ছেলে ফিরে আসবে। আর পানকৌড়িকে নিবেদন করে সে যেন ডাঙায় থাকে, পানিতে ভেসে উঠে জ্বলন্ত প্রদীপটাকে নিভিয়ে না দেয়, তার প্রার্থনায় যেন ব্যাঘাত না ঘটে। অশ্রু ভেজা চোখে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে প্রদীপের দিকে ।

মান্নাদের কণ্ঠের আরেকটি গানের কথাও মনে পরে ‘দু:খ আমাকে দু:খী করেনি, করেছে রাজার রাজা’। এক যাত্রা অভিনেতা রাজা হিসেবে অভিনয়ের পর মনের কষ্ট প্রকাশ করে…

‘ আর অভিনয় শেষে ভাঙ্গা আয়নায় –
আমি দেখে গেছি করুন ব্যাথায়
ফকিরের রাজা সাজা।
ও রানী সাহেবা বিদায় এবার
তোমার সাঁজ ঘরে রাজা সাজবো না আর
তুমি নকল পোশাক পরিয়ে আমাকে অনেক দিয়েছো সাজা…’

রবীন্দ্র সংগীতে বসন্তের সুখীজনের উপেক্ষিত সেই দুখিনী নারীর অশ্রু, সন্তান হারা পিতার অসীমের পানে নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকা, মায়ের কবরের পাশে সন্তানের বিরামহীন কান্না, মৃত ভাইকে জড়িয়ে ধরে বোনের চিৎকার, ভালোবাসার মানুষটির চির বিদায়ে পাগলপারা প্রেমিকের শোকের মাতম, অসহনীয় দু:খ লুকিয়ে সুন্দর হাসি দেয়া ছদ্মবেশী সেই সুখীজনের দু:খের ক্ষত…দু:খ নিয়ে জীবনের কত গল্প, কত কবিতা, কত গান, কত জানা-অজানা শোক গাঁথা…দু:খ কষ্টের যেন শেষ নেই…

বহুরূপী দু:খ কত রূপে আসে… মৃত্যু, হঠাৎ দুর্ঘটনা, না পাওয়া, পেয়ে হারানো, পেয়েও অমিলের দ্বন্দ্ব, চাওয়া অনুযায়ী না পাওয়া, অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতিতে সৃষ্ট ক্ষতের স্মৃতি । লুকিয়ে থেকে এই দু:খ মাঝে মাঝে নানা রূপে ভেসে উঠে, কখনো অন্য ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়, কখনো না চাইলেও স্মৃতিতে এসে পরে। দু:খ আমাদের নিত্য সঙ্গী, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নেও সে দেখা দেয়। পৃথিবীতে অনেক আনন্দ ভাগাভাগি করা যায় কিন্তু দু:খকে ভাগাভাগি করা যায় না। কারণ প্রত্যেকের দু:খের রয়েছে ভিন্ন ছন্দ। কোনো কোনো দু:খ হয়তো কারো সাথে মিলে কিন্তু ব্যক্তিস্বাতন্ত্রের কারণে তা মৌলিক রূপ পরিগ্রহ করে । আমাদের ‘ফিঙ্গার-প্রিন্ট’-এর যেমন করো সাথে মিল নেই, তেমনি সকলের ‘গ্রিফ-প্রিন্ট’ও যেন আলাদা ।

দু:খ নিরসনে অসহায় মানুষ, দু:খের মধ্যে সান্ত¡না খোঁজে । কবি পি.বি. শেলি, তাঁর ‘টু এ স্কাইলার্ক’ কবিতায়, আমাদের দুঃখগুলোকে মধুরতম সংগীত বলেন-

‘মোরা আগে পিছে চাহি,
না পেয়ে দুঃখের গান গাহি ।
মোদের প্রাণের অকপট হাসি,
তারও কিছু যেন বাজায় ব্যথার বাঁশী ।
যা মোদের সবচেয়ে দু:খের গান, তাই যেন মধুরতম তান।’
দু:খ জীবনকে যেন নতুন রূপে উন্মোচিত করে করে ।
‘দারিদ্র’ কবিতায় কবি নজরুল …
‘হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছ মহান্।
তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীষ্টের সম্মান
কণ্টক-মুকুট শোভা।দিয়াছ, তাপস,
অসঙ্কোচ প্রকাশের দুরন্ত সাহস;
উদ্ধত উলঙ্গ দৃষ্টি, বাণী ক্ষুরধার,
বীণা মোর শাপে তব হল তরবার!”

তাই কবি ‘এডনা সেন্ট ভিন্সেন্ট মিলে’ দু:খকে নিকটাত্মীয় হিসেবে মেনে নিয়ে, ‘কিন্ টু সরো’ কবিতায় দু:খকে স্বাগত জানান …
‘(দু:খ) তুমি কি মোর বান্ধব-জন?
মোরা কি স্বজন-আপন?
দুয়ারে তোমার সতত চরণ,
(দ্বার খুলে বলি) ওহ! এসো, গ্রহণ করো তব আসন!’

দু:খকে নানা আঙ্গিকে জানার জন্য অনেক ভালো ভালো বই রয়েছে । তার মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য, যা আমাদের আহরিত প্রজ্ঞায় দেয় নতুন আলোর বিচ্ছুরণ। ‘বিয়ারিং দ্য আনবিয়ারএবল’ লেখক-জোয়ানা ক্যচাটোরি, পিএইচডি; ‘দ্য আদার সাইড অব স্যাডনেস’ লেখক-জর্জ এ বোনানো, পিএইচডি; ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইওর গ্রিফ’ লেখক-অ্যালেন ডি. ওলফেল্ট, পিএইচডি; ‘আই ওয়াজ নট রেডি টু সে গুড বাই’ লেখক-ব্রুক নোয়েল ও পামেলা ডি. ব্লেয়ারের, পিএইচডি; ‘ইট’স ওকে দ্যাট ইউ’র নট ওকে’ লেখক-মেগান ডেভাইন; ‘অন্ গ্রিফ এন্ড গ্রীভিং’ লেখক-এলিজাবেদ কিউবলার (এম ডি) ও ডেভিড কেসলর; ‘এ জার্নি থ্রু গ্রিফ’ লেখক- আলা রেনী বোজার্থ’, পিএইচডি ইত্যাদি। বইগুলো ‘দু:খ-দর্শন’ রাজ্যে ভীষণ নাড়া দেয়। এর মধ্যে-

জোয়ানা ক্যচাটোরি তাঁর বিখ্যাত ‘বিয়ারিং দ্য আনবিয়ারএবল’ – বইয়ের ‘জয়েনিং হ্যান্ডস’ অধ্যায়ে বলেন, “দু:খ কোনো অসুস্থতা নয়, যে তা সারানো যায়; কোনো আধ্যাত্মিক সংকট নয়, যা সমাধান করা যায়; কোনো সামাজিক বিপর্যয়ও নয়, যাকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়া যায় । দু:খ শুধুই হৃদয়ের ব্যাপার, যা উপলব্ধি করা যায় । ”

‘প্রলোগ’ অংশে তিনি ভালোবাসা ও দু:খের অবিচ্ছিন্ন বন্ধন সম্পর্কে বলেন, ‘যখন আমরা গভীরভাবে ভালোবাসি, তখন শোকও গভীর হয়, অসাধারণ শোক বা দু:খ, মূলত অসাধারণ ভালোবাসারই অভিব্যক্তি । দু:খ ও ভালোবাসা একে অপরকে আয়নার মতো প্রতিফলিত করে, একটি ছাড়া অপরটি অসম্ভব ।”

জার্মান ধর্মতত্ত্ববিদ ডিট্র্যাক বন-হপারের উদ্বৃতি তিনি আরো বলেন, ভালোবাসার হারিয়ে যাওয়ার মানুষটির শূন্যতা কখনো পূরণ হয় না, তাঁর বিকল্প খোঁজা বা খোঁজার চেষ্টা করা ভুল, শূন্যতার এই স্বান্তনা যেন চিরন্তন বন্ধন অটুট রাখে। আমাদের ক্ষত-দুঃখ গুলো আসলে খুবই মূল্যবান যা ভালোবাসাকে জাগিয়ে তোলে, বাড়িয়ে তোলে । তাঁর মতে চূড়ান্ত পর্যায়ে, ‘সয়ে চলা দুঃখ ক্রমে সমবেদনা প্রকাশ করে, আর পরবর্তীতে সেই দুঃখ পরিণত হয় বদান্যতায়।’

মেগান ডেভাইন তাঁর ‘ইট’স ওকে দ্যাট ইউ’র নট ওকে’ – বইয়ের প্রথম অংশের দ্বিতীয় অধ্যায়ে দু:খের শ্রেণীবিন্যাস করে বলেন, ‘আমরা দু:খের শ্রেণীবিন্যাস নিয়ে কথা বলতে পারি। কেউ বলেন, আমার দু:খের মতো কারো দু:খ নেই, কারো কথায়, আমার এই কষ্টের চেয়ে মরণ ভালো, কেউবা বলেন, তার সমস্যা অনেক মনে হলেও এর সবটা সত্যি নয় ইত্যাদি । কিন্তু দু:খেরও শ্রেণী রয়েছে- কারো জীবন-সঙ্গীর সাথে সম্পর্কছেদ আর জীবন-সঙ্গীর মৃত্যু এক নয়, দাদা-দাদী, নানা-নানীর মৃত্যু আর ছোট শিশুর মৃত্যু এক নয়, কারো চাকরী হারানো আর অঙ্গ হারানো একই ধরণের দু:খ নয় ।”

সপ্তম অধ্যায়ে তিনি আরো বলেন ‘ব্যথা’ ও ‘ব্যথা-কষ্ট বয়ে বেড়ানো’ এক জিনিস নয়, দুটো ভিন্ন বিষয়, দুটোর পার্থক্য জানা প্রয়োজন । ব্যথার জন্য সমর্থন দরকার আর সয়ে-চলা-কষ্টকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, একটা পর্যায়ে কমানো সম্ভব ।”
ব্রুক নোয়েল ও পামেলা ডি. ব্লেয়ার বলেন, আকস্মিক গভীর শোকে-দু:খে আমরা যেন অচেনা জগতে চলে যাই ।‘আই ওয়াজ নট রেডি টু সে গুড বাই’ – বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়ে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমাদের অনেকের কাছে আকস্মিক শোক-দু:খ-কষ্ট, অচেনা বিদেশভূমিতে পড়ার মতো, যেখানে আমরা কথা বলি ও কথা শুনি কিন্তু কেউ কাউকে বুঝি না।’

আলা রেনী বোজার্থ তাঁর ‘এ জার্নি থ্রু গ্রিফ’ বইয়ে এক অসাধারণ সত্য উপস্থাপন করেন, ‘আমাদের শরীর থেকে যেমন রক্ত ক্ষরণ হয়, তেমনি মনের দু;খ-কষ্টগুলো থেকেও ক্ষরণ হয়। ক্রমাগত এই ক্ষরণ আমাদের আবেগ ও আত্মিক সত্ত্বাকে জর্জরিত করে, অভ্যন্তরীন জখমকে বাড়িয়ে তোলে ।পরবর্তীতে নানা আবেগ ও আচরণে এর নেতিবাচক প্রকাশ ঘটে, যার মূল কারণ আমরা অনেকে হয়তো ধরতে পারি না।’
অ্যালেন ডি ওলফেল্ট তাঁর ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইওর গ্রিফ; গ্রন্থের ‘টাচ স্টোন ৬’ অংশে তিনি বলেন, ‘শোকের ছয়টি আবশ্যিকতা রয়েছে: ১. মৃত্যুর বাস্তবতা স্বীকার করা ২. হারানোর/ক্ষতির ফলে নিজেকে ব্যথা অনুভবের অনুমতি/সুযোগ দেয়া, ৩. যিনি মারা গেছেন তাঁকে স্মরণ করা, ৪. নতুন আত্ম-পরিচয়ের উন্নয়ন ঘটানো, ৫. জীবনের মানে খোঁজা, ৬. বর্তমান ও সবসময় অন্যরা যেন তোমাকে সাহায্য করতে পারে সেই সুযোগ /অনুমতি দেয়া।’

এভাবে অসাধারণ জ্ঞানী-গুণীজন দু:খকে নানা আঙ্গিকে বিশ্লেষণ করেছেন, যা আমাদের প্রচলিত ধারণাগুলো পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে, দু:খকে সহনশীল করে তোলে, জীবনকে করে তুলে আরেকটু মানবিক, বাস্তবিক ও যৌক্তিক।
জীবদ্দশায়, দু:খকে একবারে শূণ্যের কোঠায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, তবে তা কমানো সম্ভব, ভিন্ন আঙ্গিকে দেখা সম্ভব, তাকে সহনশীল পর্যায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এ বিষয়ে কিছু মূল্যবান প্রজ্ঞা আমাদের জীবনকে সত্যিকারের সান্ত¡না দেয় ।
মাওলানা রুমি বলেন, ‘যা তোমাকে আঘাত দেয়, তাই তোমার জন্য আশীর্বাদ স্বরূপ, অন্ধকার হচ্ছে তোমার চলার জন্য মোমবাতি (এ তোমায় সঠিক পথ দেখায়) ।’ তিনি আরো বলেন, ‘ব্যথার মধ্যেই রয়েছে ব্যথার উপশম।’
অন্যের প্রতি সহানুভূতি ও সমানুভূতি আমাদের দু:খকে লাঘব করে… ‘’অন এনাদার’স সরো’ কবিতায় কবি উইলিয়াম ব্ল্যাক বলেন,

‘(জিজ্ঞাসি মোরে), দেখিয়া পরের দহন
আমি কি হই অত্যাগ-সহন?
শুনিয়া অন্যের আর্ত রবে
মোর মন কি খুঁজে সমাধান তবে?’
কবি কামিনী রায় ‘সুখ’ কবিতায়-
‘পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।’

চূড়ান্তপর্যায়ে, স্রষ্টার সানিধ্য-সন্ধানে ধর্মের ওপর ভিত্তিকরে আমরা চির মুক্তির দিকে এগিয়ে চলি …
বিখ্যাত লেখক ফিওডর দস্তয়ভস্কি বলেন, “রাত যত অন্ধকার, তারারা তত স্পষ্ট, দু:খ যত গভীর, স্রষ্টা তত নিকটবর্তী ।’
এ বিষয়ে পবিত্রতম মহাগ্রন্থ আল কোরানের কিছু উদ্বৃতি ‘সূরা বাকারা: আয়াত নং-১৫৫.এবং নিশ্চয় আমি তোমাদের ভয়, ক্ষুধা এবং ধন-সম্পদ, জীবন ও ফলশস্যের ক্ষয়ক্ষতির দ্বারা পরীক্ষা করব। তুমি ধের্যশীলগণকে সুসংবাদ দাও।’

‘সূরা হুদ: আয়াত নং-৩৫. প্রাণী মাত্রই মরণশীল; আমি তোমাদের মন্দ ও ভালোর দ্বারা বিশেষভাবে পরীক্ষা করে থাকি এবং তোমরা আমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করবে।’

‘সূরা ফোরকান: আয়াত নং-২০. … (হে মানুষ!) আমি তোমাদের মধ্যে এক কে অপরের জন্য পরীক্ষা স্বরূপ করেছি। তোমরা ধৈর্য ধারণ করবে কী? তোমার প্রতিপালক সমস্ত কিছু দেখেন।’

‘সূরা আনয়াম: আয়াত নং-৪২. তোমার পূর্বেও বহু জাতির নিকট রসুল প্রেরণ করেছি, অত:পর তাদের আমি অভাব ও কষ্ট দ্বারা পরীক্ষা করেছি, যেন তারা বিনীত হয়।’
‘সূরা শুরা: আয়াত নং-৩০. তোমাদের যে বিপদ-আপদ ঘটে তা তো তোমাদের কৃত কর্মেরই ফল এবং তোমাদের অনেক অপরাধ তিনি ক্ষমা করেছেন।’
‘সূরা রুম: আয়াত নং-৪১. মানুষের কৃতকর্মের জন্য জলে-স্থলে বিপদ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে ওদেরকে ওদের কোনো কোনো কর্মেও শাস্তি আস্বাদন করান হয়, যাতে ওরা সৎপথে ফিরে আসে।’
দু:খের ভিতরেই যেন চিরমুক্তির সন্ধান, চির সুখের দেশে গমনের পথ …
জন হেইল ভিনসেন্ট এর অসাধারণ মন্তব্যে, জীবনকে তিনি বিদ্যালয়ের সাথে তুলনা করে বলেন, মানব জীবনে দু:খ-কষ্টের বিভিন্ন মাত্রা রয়েছে। দু:খ-কষ্টের জীবন-বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ শ্রেণীতে আমরা কি শিখি? আমরা দু:খ পরিত্যাগ করা শিখি না, ধৈর্যধারণ করাও শিখি না, সর্বোচ্চ শ্রেণীতে আমরা যা শিখি, তা হচ্ছে কষ্টের মধ্যেই আনন্দ, কষ্টের মধ্যেই চিরন্তন সুখ ।
লেখক: মনজুর-এ-আলম খান (তুহিন), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা / monjuroffice@gmail.com

Scroll to Top