বাংলার আয়না

৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

Ad

লালমোহনে বাড়ছে পোষা পাখির কদর

মাকসুদুর রহমান পারভেজ, লালমোহন ( ভোলা)
ভোলার লালমোহনে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পোষা পাখির কদর। সারাদেশের ন্যায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম- গঞ্জের প্রায় বাড়ীতে কবুতরের পাশাপাশি টিয়া, ময়না, শালিক, কোয়েল প্রভৃতি পাখি গৃহে লালন-পালন করতে দেখা যায়। আগেকার দিনে পাখির সাথে কুকুরও পোষা হতো। এখন পোষ মানাতে হয়না বেশির ভাগ কুকুরকে।এখন ডিজিটালের ছোঁয়ায় কৃত্রিমভাবে প্রজনন করে সংকর জাতের নানা প্রাণী প্রজনন ঘটানো চচ্ছে বাড়ীতেই। কিছু পাখি ঘরের মধ্যে খাঁচায় আবার কিছ ুকিছু পাখি খোঁপ বা বাসা বানিয়ে দিয়ে পালন করা হচ্ছে। যারা কেবল খাঁচার ভেতরেই বাঁচে তাদেরকে সে ভাবে পালন করা হয়। খাঁচায় পোষা পাখির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় নিয়মিত ঔষধ খাওয়ানো ও যতœ নেয়া নিতে হয়। এদের তৈরি করা হচ্ছে জন্মগত ভাবেই‘ পোষা ’হিসেবে। কেবল সৌন্দর্য বাড়ানোএবং মুনিবের মনের খোরাক মেটানো ছাড়া এদের কোনো কাজ নেই। এসব পোষা পাখি অনেক ডিম দিয়ে থাকে ।
কুকুর কিংবা খরগোশ বা অন্য কোনো প্রাণীএখন আর সবার কাছে তেমন আগ্রহের নয়। তবে পাখির চাহিদা ব্যাপক। পোষা পাখির কদর বাড়ছেই দিন দিন। জানা যায়, দেশের সবচেয়ে বড় পোষা পাখির বাজার রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেট। আগে এসব মার্কেটে মিলতো হরেক রকমের পাখি। এখন গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন হাটবাজারে পোষা পাখি বিক্রি হচ্ছে অহরহ। এদের মধ্যে রয়েছে দেশি ঘুঘু, বিদেশি ঘুঘু, কবুতর, বাজরিগার, কাকাতুয়া, লাভবার্ড ও কোয়েলসহ নানা রকমের পাখি। তবে সবচেয়ে বেশি চাহিদা বাজরিগার, কোয়েল, কাঁকাতুয়া আর লাভ বার্ডের । টিয়া, ময়নার কদর তো আগে থেকেই সেটা অনেকেরই জানা। তবে কথা বলা ময়না, টিয়ার দাম বেশি বলে বিক্রি কম। উপজেলার রায়চাঁদ বাজারের পোষাপাখি ব্যাবসায়ী ইউপি সদস্য মো: বশির আহম্মদ বলেন, বাজরিগারের জোড়া ৪০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হয়। কাকাতুয়া আড়াই থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় আর লাভবার্ড বিক্রি হচ্ছে সাড়ে তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায়। তিনি বলেন, এখন তেমন বিক্রি নেই। তবে চাহিদা আগের চেয়ে বেড়েছে। এ সকল পোষা পাখির খাবার কিনতে হয় ঢাকা থেকে।
শামসুদ্দীন নামের এক পাখি প্রেমিক বলেন, পাখি দেখতে খুব সুন্দর। সকালে পাখির ডাক শুনতে ভালো লাগে। আর ঝামেলাও কম। তাই পোষা পাখির প্রতি এতো টান। পোষা পাখি উড়ে তেমন দূরে যেতে পারে না।
সিরাজ মিয়া নামের এক পোষা পাখি লালনকারী বলেন, পাখি পোষা শখের বিষয় এখন আবার পোষা পাখির কদর আমাদের দেশে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারন শখের পাশা পাশি আয়ও করা যায় অনেক। পোষা পাখি বনের পাখির চেয়ে সুন্দর দেখায়। গাছের পাখির মতোও না। মানুষ খুব কেনে এগুলো।
পাখি প্রেমি স্কুল শিক্ষক মো: শাহাবুদ্দীন বলেন, দেশে আগের চেয়ে পোষা পাখি পালনের চাহিদা বাড়ছে। কারন পাখি পোষা শখের পাশা পাশি খেতেও সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। আবার বিভিন্ন প্রজাতির পোষা পাখি ডিমও দিয়ে থাকে।

Scroll to Top