বাংলার আয়না

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামানো উচিত

অস্ত্র তৈরী হয় আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, চীন ও রাশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশে। সে সব দেশ অস্ত্রের বরুদে পুড়ছে না, পুড়ছে ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ফিলিস্তিন, আফগানিস্তান সর্ব শেষ ইউক্রেনের মাঁটি।

রাশিয়া দাবি করেছে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের ২৩ হাজার সেনা নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের দাবি রাশিয়ার ১৩ হাজার সেনা হত্যা করেছে তারা।

বিভিন্ন সূত্র জানায়, সমসংখ্যক বেসামরিক নারী-পুরুষ-শিশুও নিহত হয়েছে এই যুদ্ধে। উদবাস্তু হয়েছে বা পালিয়ে গেছে চার কোটি ইক্রেন বাসীর মধ্যে ৪০ লাখ নিরীহ মানুষ।

এসব হত্যা এবং ইউক্রেনকে তামায় পরিণত করার দায় কে নেবে। বিশ্লেষকদের মতে পশ্চিমাদের উস্কানী, অস্ত্রের যোগান, তাদের সার্থ হাসিলের সহযোগিতায় জেলেনস্কির গোয়ার্তামীই এই যুদ্ধের করান।

তাদের উক্তি ‌’সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে কতগুলো দেশই না তৈরী হলো। হঠাৎ জেলেনস্কির ন্যাটোতে যোগ দেয়ার খায়েশ হলো কেন? একটি জোটের সদস্য হওয়া নিয়ে ইউক্রেনকে তামায় পরিণত করার ম্যাণ্ডেট গোটা ইউক্রেনবাসী কি জেলেনস্কিকে দিয়েছে? দিলেও এই আধুনিক সভ্য যুগে যুদ্ধে জড়ানোর পরিস্থিতি গ্রহণ করা জেলেনস্কির উচিত হয়নি।’

পক্ষান্তরে পাঁচ পরা শক্তির একটি রাশিয়া, অহংকারতো থাকবেই। এক্ষেত্রে জেলেনস্কির ছাড় দেয়া প্রয়োজন ছিল। যেটা দরকার ছিল পুতিনেরও। বিশ্লেষকদের মতে, ‘দুটোই যুদ্ধবাজ। যুদ্ধ দিয়ে সমাধান হয়না ক্ষতি ছাড়া। পৃথিবী জুড়ে যত যুদ্ধ হয়েছে সব-ই থামাতে হয়েছে। সুতরাং আর অস্ত্র নয়, পৃথিবীর জনপদ তামা নয়, হত্যা নয়, যুদ্ধ থামাও। যুদ্ধে পৃথিবীর মানুষ ভুগছে বিশ্বযুদ্ধ আতঙ্কে, দ্রব্যমূল্যে মানুষ ভুগছে ক্ষুধায়। যুদ্ধ থামাও। যুদ্ধ থামাও। যুদ্ধ থামানো উচিৎ। ‘

Scroll to Top