বাংলার আয়না

৩ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২০ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৩ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

Ad

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে দরকার আরো উদ্যোগ

আজ সেই ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ‘অপারেশন সার্চ লাইট’-এর নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে চালায় বিশ্ব ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা। যেটি ছিল বাঙালির একটি প্রজন্মকে নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার এক নারকীয় পরিকল্পনা। এইরাতে চেষ্টা করা হয়েছিল ঘুমন্ত অবস্হায় বাংলাদেশের নাম মুছে ফেলার।

২৫ মার্চ পাক-হানাদার বাহিনী স্বাধীনতাকামী বাঙালির ওপর দানবের মতো ঝাঁপিয়ে পড়লে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে পাঁচটি উপাদানের মধ্যে চারটি বিদ্যমান থাকলেও বাংলাদেশের ভয়াবহ এই গণহত্যা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বা জাতিসংঘের স্বীকৃতি এখনও পায়নি। বিদেশিদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে স্বীকৃতি আদায়ে কূটনৈতিক উদ্যোগও সীমিত।

কারণ জাতিসংঘ ৯ ডিসেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস’ পালনের সিদ্ধান্ত নেয় ২০১৫ সালে। আর্মেনিয়ায় গণহত্যার বিষয়ে দেশটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে দিবসটি ঘোষণা করা হয়। ফলে জোরালো কূটনৈতিক তত্পরতা ছাড়া ২৫ মার্চকে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণা’ আদায় করা খুব সহজ হবে বলে মনে করছেন না সংশ্লিষ্টরা। তাদের অভিযোগ, মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জাতীয় সংসদে গৃহীত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চোখে পড়ার মত তেমন কোনো কূটনৈতিক তত্পরতা নেই।

Scroll to Top