ফারিহা তাবাসসুম
চুলের যত্ন নিতে সবাই চাপে থাকেন। বুদ্ধি খোঁজেন কি করা যায়। অনেকে তালগোল পাকিয়ে ফেলে টেনশন আরো বাড়িয়ে চাপে পড়েন। ঈদ আসন্ন। এবারের ঈদে চুলের যত্ন যেভাবে নিবেন তার কয়েকটি টিপস দেয়া হলো নিচে।
১. বাইরে থেকে ঘরে ফিরে সবার আগে চুল শুকিয়ে ফেলতে হবে। এই চুল শুকাতে কোনোভাবেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না। ফ্যানের ঠান্ডা বাতাসে চুল শুকিয়ে নিতে হবে।
২. গনগনে গরম হয়তো এড়ানো যাবে না। তবে চেষ্টা করলে বাইরের ঠাঠা রোদ্দুর কিছুটা হলেও এড়ানো যায়। ঈদের আগে অফিসে বা শপিংয়ে ছোটাছুটি করার সময় চুল স্কার্ফ বা হ্যাট দিয়ে ঢেকে রাখুন। এতে প্রখর রোদের পাশাপাশি ধুলাবালু থেকেও চুলকে রক্ষা করা যায়।
৩. সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি শুধু ত্বকের জন্য নয়, চুলের জন্যও বেশ ক্ষতিকর। চুল খুব সহজে রুক্ষ ও মলিন করতে এর কোনো জুড়ি নেই। চুল স্কার্ফ বা হ্যাট দিয়ে ঢাকলে বা ছাতা ব্যবহার করলে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রেহাই মেলে। এ ছাড়া ত্বকের মতো চুলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যেতে পারে। বাজারে এখন অনেক ধরনের হেয়ার সানব্লক মিস্ট কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। দামও হাতের নাগালে।
৪. সুস্থ সুন্দর ঝলমলে চুলের জন্য শ্যাম্পুর কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু তাই বলে রোজ শ্যাম্পু করা যাবে না। কারণ, বেশির ভাগ শ্যাম্পুতে কোনো না কোনো কেমিক্যাল থাকে। এই কেমিক্যালগুলো মাথার ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট করে দেয়। এতে চুল রুক্ষ ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে চার দিনের বেশি শ্যাম্পু করা যাবে না। শ্যাম্পু করার আগে চুল স্টিম করে নিতে পারলে ভালো হয়।
৫. ঈদের আগে বাড়তি যত্নের জন্য চুলে হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। একদম ঘরে থাকা উপাদান দিয়েই নারিশিং হেয়ার মাস্ক তৈরি করা সম্ভব। এ জন্য দরকার হবে দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, তিন টেবিল চামচ অ্যালোভেরা, দুটি ডিমের কুসুম। সব উপাদান একসঙ্গে মিশিয়ে চুলে মাখিয়ে রাখতে হবে অন্তত ৪৫ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে চুল হবে মসৃণ ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
৬. সব কিছুর সঙ্গে মূল কথা হলো পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এবং রাতে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।