নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে ডলার সংকটের নেতিবাচক প্রভাব সমগ্র অর্থনীতিতে। এর ফলে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ, উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, সুদের হার ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক দিক তৈরি হয়েছে। ডলারের এ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গৃহীত কোনো নীতিমালাই কাজে আসেনি, উল্টো সর্বত্র হতাশা দেখা দিয়েছে।
পরিস্থিতি আরও জটিল হওয়ায় ডলারের দাম জোরপূর্বক আটকে রাখার অবস্থান থেকে পিছু হটে ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে এক দিনেই ৭ টাকা বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একলাফে বড় ধরনের টাকার অবমূল্যায়ন আমদানি পণ্য ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ উসকে দিয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক চলতি মাসে ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করে। এতে আমদানি করা নিত্যপণ্যসহ নানান পণ্যের দাম বেড়ে যায়। চলিত অর্থবছরের জুলাই মাসে ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা ৬৫ পয়সা। ২০২২ সালের মে মাসে মার্কিন এ মুদ্রাটির দর ছিল ৮৯ টাকা। সে হিসাবে দুই বছরে ডলারের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক এতদিন ডলারের দাম আটকে রেখেছিল।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ডলারের বাজার আটকে রাখার যেমন ইতিবাচক দিক নেই, একইভাবে একবারে বেশি দাম বাড়ানোরও যুক্তি নেই। ধীরে ধীরে দাম বাড়ালে বাজারে অস্থিরতা হতো না বলে মত তাদের।