নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের চকরিয়ায় বাবার শ্রাদ্ধ শেষে ফেরার পথে বেপরোয়া গতির পিকআপের চাপায় পাঁচ ভাই নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত চালক সাইফুল ইসলামের ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। ঘটনার পর গাড়ির মালিক মাহমুদুলের পরামর্শে তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে এসব কথা জানানো হয়। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে সাইফুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এই পিকআপটি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে সবজি সরবরাহ করা হয়। মালিক চকরিয়ার মাহমুদুল নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার সময় ওই পিকআপে মালিকের ছেলে তারেক এবং মালিকের ভাগনে ছিলেন। এই গাড়ির কোনো কাগজপত্র নেই। ২০১৮ সালের পর এই গাড়ির নথিপত্র হালনাগাদ করেনি।
গত ৩০ জানুয়ারি মারা যান কক্সবাজারের চকরিয়ার সুরেশ চন্দ্র সুশীল। গত মঙ্গলবার তাঁর শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মীয় আচার শেষে স্থানীয় একটি মন্দির থেকে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন সুরেশ চন্দ্রের পাঁচ ছেলে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়া উপজেলা অংশের মালুমঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।