বাংলার আয়না

২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

Ad

বাংলাদেশের তাপমাত্রা বাড়ছে

বাংলার আয়না ডেস্ক
বাংলাদেশের তাপমাত্রা গত তিন দশকে দ্রুত বেড়েছে। সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিইজিআইএস আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণ করে বলছে, শীতকাল আরো বেশি শুষ্ক এবং বর্ষাকাল আরো বেশি আর্দ্র হচ্ছে।

গেল তিন দশকে বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা তার আগের তিন দশকের চেয়ে বেশি হারে বেড়েছে। জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৭ উপলক্ষে প্রকাশিত বাংলাদেশ ন্যাশনাল অ্যাডাপটেশন প্ল্যান বা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফর্মেশন সার্ভিসেস বা সিইজিআইএসের হিসেবে, ১৯৬১ থেকে ১৯৯০ সালে প্রতিবছর গড়ে তাপমাত্রা বেড়েছে ০.০০৬৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ১৯৯১ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তাপমাত্রা বেড়েছে প্রতিবছর গড়ে ০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ আগের তিন দশকের তুলনায় গত তিন দশকে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে এর প্রায় সাড়ে চার গুণ।

সিইজিআইএসের হিসেবে আরো দেখা যায়, যতই সময় গড়াচ্ছে তত তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার বাড়ছে। যেমন, গত তিন দশকের মধ্যে ১৯৯১ থেকে ২০০০-এর মধ্যে তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০০১ থেকে ২০১০ পর্যন্ত বেড়েছে বছরে গড়ে ০.৫৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত গড়ে ১.০৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত ও বর্ষায় সর্বনিম্ন গড় তাপমাত্রা যথাক্রমে বছরে বেড়েছে ০.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ০.৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ, শীতকাল ক্রমে উষ্ণতর হচ্ছে।

তাপমাত্রা বাড়লে কী হবে?
আইপিসিসির গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি ডিগ্রি তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে অতিবৃষ্টির হার বাড়ে ৭ ভাগ। বাড়ে শক্তিশালী সাইক্লোনের হার। প্রতিবেদনটি বলছে, পৃথিবীর তাপমাত্রা আর ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে প্রতি শতকে দুই থেকে তিনবার ভয়ঙ্কর অতিবৃষ্টির কবলে পড়বে পৃথিবী। প্রতি দশকে একবার প্রচণ্ড খরায় অধিকাংশ জমি শুকিয়ে যাবে এবং চারবার উর্বরতা হারাবে। হিট ওয়েভ বা তাপপ্রবাহের ঘটনা এরই মধ্যে বেড়েছে ২.৮ গুণ। আর একটি ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বাড়লে তা ৯.৪ গুণ বাড়বে এবং তাপমাত্রা বাড়বে ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

Scroll to Top