বাংলার আয়না

১ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২১ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

Ad

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মঞ্চায়ন শুরু : গণশুনানি আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক
গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির শুনানি শেষে এবার বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য নির্ধারণে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম মিলনায়তনে এ শুনানির আয়োজন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।

আর বিদ্যুতের পাইকারি দাম বাড়ালে খুচরা দামও বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। অর্থাৎ শুনানির মাধ্যমে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির মঞ্চায়ন আজ শুরু হলো বলে মন্তব্য করেছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

গত ১২ জানুয়ারি বিইআরসিতে বিদ্যুতের পাইকারি মূল্য বাড়ানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। দেশের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোতে উৎপাদিত এবং ভারত থেকে আমদানিকৃত বিদ্যুতের একক ক্রেতা পিডিবি। সেই ক্রয়কৃত বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা ও কোম্পানিগুলোর (আরইবি, ডিপিডিসি, ডেসকো, নেসকো, ওজোপাডিকো এবং পিডিবির বিতরণ অঞ্চল) কাছে পাইকারি মূল্যে বিক্রি করে পিডিবি। বিতরণ সংস্থা-কোম্পানিগুলো থেকে তা খুচরা মূল্যে কিনে ব্যবহার করে জনগণ-গ্রাহক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে সিংহভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় গ্যাস ও জ্বালানি তেল থেকে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। শুনানির মাধ্যমে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির বিষয়টিও প্রায় চূড়ান্ত। এমন অবস্থায় বিদ্যুৎ খাত অপচয়, দুর্নীতি এবং খরুচে প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসার পাশাপাশি সিস্টেম লস কমাতে পারলে মূলবৃদ্ধির প্রয়োজন হবে না। তা না হলে মূল্য বৃদ্ধি না করে উপায় থাকবে না নিয়ন্ত্রক সংস্থার।

সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিদ্যুতের পাইকারি দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি ইউনিট ৫ টাকা ১৭ পয়সা। নতুন প্রস্তাবে পিডিবি তিনটি ভিন্ন প্রস্তাব করেছে। সেগুলো হলো—এক. গ্যাসের বিদ্যমান দর বহাল থাকলে প্রতি ইউনিট পাইকারি বিদ্যুতের দাম ৮ টাকা ৫৮ পয়সা; দুই. গ্যাসের দাম ১০০ শতাংশ বৃদ্ধি হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৯ টাকা ১৪ পয়সা এবং গ্যাসের দাম ১২৫ শতাংশ বৃদ্ধি হলে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৯ টাকা ২৭ পয়সা মূল্যবৃদ্ধি।

Scroll to Top