বাংলার আয়না

মূল্যস্ফীতি সহনীয় হবে জুনে

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ ৪ কারণে দেশে মূল্যস্ফীতি অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। অন্য কারণগুলো হচ্ছে-বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং আন্তর্জাতিক বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী। অর্থ বিভাগের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। সেখানে আরও বলা হয়, বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও এলএনজির মূল্য ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। এটি নিয়ামক হিসাবে কাজ করবে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে। এর ফলে আগামী জুন নাগাদ দেশের মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

অর্থ বিভাগের প্রতিবেদনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, অর্থনীতিতে পুনরায় নানাবিধ বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে, যা থেকে বাংলাদেশও মুক্ত নয়। তবে আমি আশাবাদী এসব বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করে দেশ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য মতে, অর্থবছরের প্রথম মাসে অর্থাৎ জুলাইয়ে গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। যা আগের অর্থবছরে একই সময় ছিল ৫ দশমিক ৩৬ শতাংশ। জুলাইয়ের পর থেকে মূল্যস্ফীতি পর্যায়ক্রমে আরও বাড়তে থাকে। তবে গড় মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করে গত অক্টোবরে। সর্বশেষ গত ডিসেম্বর মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। অর্থ বিভাগের হিসাবে আগামী জুনে মূল্যস্ফীতির হার সহনীয় পর্যায়ে নেমে দাঁড়াবে ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশে।

Scroll to Top