নিজস্ব প্রতিবেদক
ভৈরব সুরে শুরু হওয়া ছায়ানটের বর্ষবরণ ১৪৩০–এর অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে। শুক্রবার (পহেলা বৈশাখ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ছায়ানটের শিল্পীরা এবারের আয়োজনের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এদিন ভোর ৬টা ১৫ মিনিটের দিকে শুরু হয় বাংলা ১৪৩০ সালকে বরণ করে নেয়ার এই ঐতিহ্যবাহী আয়োজন।
ছায়ানট জানায়, বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানাতে চলতি বছর ১০টি সম্মিলিত গান, ১১টি একক গান, দুটি আবৃত্তি এবং সবশেষে জাতীয় সংগীতে সাজানো হয় অনুষ্ঠানমালা। আর আয়োজনটিতে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতি, মানবপ্রেম, দেশপ্রেম, আত্মবোধন আর জাগরণের সুরবাণীর বার্তা দেয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করছে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি রেডিও চ্যানেলগুলো। পাশাপাশি ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেলেও অনুষ্ঠান সরাসরি দেখানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই সমবেত কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা। এরপর একক গানে ফুটিয়ে তুলছেন প্রকৃতি, মানবপ্রেম, দেশপ্রেম ও আত্মবোধনের অনুভব। গানের ফাঁকে ফাঁকে আবার কবিতা আবৃত্তিও স্থান করে নিয়েছে এ বিশেষ অনুষ্ঠানে।
রাজধানীতে ১৯৬৭ সালে প্রথম রমনার বটমূলে পয়লা বৈশাখের সূর্যোদয়ের সময় সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল সংগীত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছায়ানট। সেই অনুষ্ঠানই মূলত বাংলা নববর্ষ বরণের সাংস্কৃতিক উৎসবকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রেরণা যুগিয়েছে।