নিজস্ব প্রতিবেদক
ভোলার লালমোহন উপজেলায় এমপি শাওনের সমর্থক আওয়ামী লীগের উপজেলা ও পৌর কমিটির কতিপয় নেতা সন্ত্রসী কর্মকাণ্ড করতে গিয়ে স্থানীয় জনতা, ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের সমর্থক ও স্থানীয় তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এসময় পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধর করে।
জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজারে ও রাত ৯ টার দিকে চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ বাজারে তাদের অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেলে করে পালানোর সময় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই জন আহত হয়। পরবর্তীতে পুলিশ অবরুদ্ধ শাওন সমর্থকদেরকে উদ্ধার করে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমান সাংসদ নুরুন্নবী চৌধুরী শাওনের অনুসারী কিছু নেতাকর্মী এলাকার আধিপত্য ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদারের অনুসারী স্থানীয় তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের নির্যাতন ও হামলা-মামলার মাধ্যমে কোনঠাসা করে রেখেছে। ফলে প্রতিনিয়ত নির্যাতন-অত্যাচারে অতিষ্ঠ উপজেলার দুই ইউনিয়নের ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমানের অনুসারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সশস্ত্র ওই সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে ফেলেন।
ধলীগৌরনগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মামুন হাওলাদার জানান, হাইব্রিডকে মূল্যায়ন এবং হাইব্রিড নেতাকর্মীদেরকে দিয়ে আওয়ামী লীগের নিবেদিত নেতা কর্মীদেরকে প্রতিনিয়ত মামলা হামলা এবং নির্যাতন করায় শাওনের জনপ্রিয়তায় ধ্বস নেমেছে,তার নির্দেশে হাইব্রিড নেতাকর্মীরা লালমোহন পৌরসভা থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে হাজির হাট বাজারে রিমন, মেহের, বিল্লাল ও সজীবের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত এক শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী মহড়া দেয়। এদের অত্যাচারে বাজার ব্যবসায়ীসহ সকল সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তাই মহড়া দিতে আসলে বাজার ব্যবসায়ী সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এদের অবরুদ্ধ করে রাখে এবং পরবর্তীতে এদেরকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
চরভূতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন হাওলাদার জানান, বিএনপি’র চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা এমপি শাওনের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে দলে জায়গা করে নিয়েছে। এখন এই হাইব্রিড সন্ত্রাসীরা দলের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছি। এদের অত্যাচারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সহ এলাকার সকল সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ। তাই এই বহিরাগত সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এলাকায় মহড়া দিতে আসলে আমরা সম্মিলিতভাবে এই সন্ত্রাসীদের প্রতিরোধ করি।
এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাহবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়েই সর্ঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি।