বাংলার আয়না

৪ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২৪ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

Ad

সিনোফার্ম’র টিকার জরুরী অনুমোদন দিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

সাকিব মাহমুদ
চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানী সিনোফার্ম -এর উৎপাদিত করোনা টিকা জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আজ শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদনের এই ঘোষণা দেয়। রয়টার্স।

সিনোফর্ম’র এই টিকা চীনে উৎপাদিত গুরুত্বপূর্ণ দুটি টিকার একটি। যা ইতমেধ্যে চীনসহ বিভিন্ন দেশের কোটি কোটি মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করা হয়েছে। এটিই হলো কোন পশ্চিমা দেশের সহায়তা ছাড়া উৎপাদিত প্রথম টিকা যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমর্থ্ন আদায়ে সামর্থ হলো। ফলে এই প্রথমবারের মতো কোনও সংক্রামক রোগের প্রতিরোধে চীনা টিকা জরুরিভাবে ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

এই অনুমোদন টিকার নিরাপত্তা এবং কার্যকারিতা সম্পর্কে জাতীয় নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের জন্য সবুজ সংকেত। এর মাধ্যমে দরিদ্র দেশগুলোতে ভ্যাকসিন সরবরাহের কর্মসূচি কোভ্যাক্সে এই টিকা অন্তর্ভুক্তির অনুমোদন পাওয়া যাবে।

রয়টার্র আরো জানায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে ফাইজার-বায়োএনটেক, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন ও জনসন এবং গত সপ্তাহে মডার্নার উৎপাদিত করোনা টিকা ব্যবহারের জন্যে জরুরি অনুমোদন দেয়।

বাংলাদেশ সরকার গত ২৯ এপ্রিল দেশে সিনোফার্ম এর টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ার উৎপাদিত অ্যাস্ট্রাজেনিকা টিকার রফতানি ভারত বন্ধ ঘোঃষণার পর বাংলাদেশ সরকার চায়না টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়, কারন ২৬ এপ্রিলের থেকে বাংলাদেশে টিকার প্রথম ডোজ দেয়া কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

ভারতের সাথে বাংলাদেশের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুসারে, ছয় মাসে বাংলাদেশকে তিন কোটি দেয়ার কথা ছিল। চুক্তি অনুযায়ী সিরাম ইনস্টিটিউট জানুয়ারীতে প্রথম ৫০ লাখ ডোজ টিকা সরবরাহ করে এবং ফেব্রুয়ারিতে সরবরাহ করে মাত্র ২০ লাখ ডোজ। এরপর থেকে আর কোনও টিকা বাংলাদেশে সরবরাহ করেনি সিরাম। কারন করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় ভারত টিকা রপ্তানী বন্ধ করে দেয়।

 

 

Scroll to Top