বাংলার আয়না

২ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৯ বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
২২ শাওয়াল, ১৪৪৫ হিজরি

Ad

১৪ নভেম্বর আকাশে উড়বে ‘এয়ার অ্যাস্ট্রো’

নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি নভেম্বরেই আকাশে পাখা মেলবে আরও একটি বেসরকারি নতুন বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ ’এয়ার অ্যাস্ট্রা’। ‘ফ্লাই ঢাকা’ নামে অপর একটি প্রাইভেট এয়ারলাইন্স সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি পেলেও এটির যাত্রা অনিশ্চিত হয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার দেশের অভ্যন্তরে ফ্লাইট পরিচালনা করার অনুমতি পেয়েছে ’এয়ার অ্যাস্ট্রা’। ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছ থেকে এয়ার অপারেটর সার্টিফিকেট (এওসি) লাভ করে এয়ার অ্যাস্ট্রা। এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অ্যাকাউন্টেবল ম্যানেজার ইমরান আসিফের কাছে এওসি হস্তান্তর করেন বেবিচক এর ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড রেগুলেশন বিভাগের সদস্য এয়ার কমোডর শাহ কাওসার আহমেদ চৌধুরী। ফলে এখন ফ্লাইট পরিচালনায় আর কোনো বাধা নেই। এই নয়া এয়ারলাইন্সটিতে বিনিয়োগ করছেন জাপানপ্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও তার পরিবার।’ এয়ার অ্যাস্ট্রা’ বাংলাদেশে ফ্লাইট পরিচালনার জন্য চারটি এয়ারক্রাফট লিজ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে এটিআর ৭২-৬০০ মডেলের দুটি এয়ারক্রাফট তাদের বহরে যুক্ত হয়েছে। বাকি দুটি এয়ারক্রাফট চলতি বছরের মধ্যেই ডেলিভারি নেবে। এয়ার অ্যাস্ট্রার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফ্রান্সে নির্মিত এটিআর ৭২-৬০০ বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক টার্বোপ্রপ প্রযুক্তির নির্ভরযোগ্য এয়ারক্রাফট। এয়ারক্রাফটের আরামদায়ক কেবিন ৭০ জন যাত্রী বহন করার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।

প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ জানান, শুরুতে কক্সবাজার ও সৈয়দপুর রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলবে। এখন আমাদের দুইটি উড়োজাহাজ আছে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে আরও দুইটি উড়োজাহাজ আসবে। ১৪ নভেম্বরের পর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে যাত্রী পরিবহন শুরু হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন নতুন এয়ারলাইনস আসায় অপারেটরদের মধ্যে প্রতিযোগিতাও ভালো হবে। যাত্রীরা আরও কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন। বর্তমানে প্রতি বছর প্রায় ২০ লাখ মানুষ আকাশপথে ভ্রমণ করেন, নতুন উড়োজাহাজগুলো যুক্ত হলে ২৫ লাখের বেশি যাত্রী আকাশপথে ভ্রমণ করতে পারবেন দেশের ভেতরে। বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স এবং নভোএয়ার ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। গত ২৫ বছরে দেশে ১০টি বেসরকারি এয়ারলাইন্স যাত্রা শুরু করলেও এখন টিকে আছে মাত্র দুটি। এ সময়ের মধ্যে একে একে পাখা গুটিয়েছে অ্যারো বেঙ্গল, এয়ার পারাবত, রয়্যাল বেঙ্গল, এয়ার বাংলাদেশ, জিএমজি এয়ারলাইন্স, বেস্ট এয়ার, ইউনাইটেড এয়ার ও রিজেন্ট এয়ার। সর্বশেষ করোনার মধ্যে গত বছরের মার্চ থেকে ফ্লাইট বন্ধ রেখেছে আরেকটি এয়ারলাইন্স রিজেন্ট এয়ার। কয়েক দফা চালুর কথা বললেও আর ফ্লাইটে ফেরেনি এয়ারলাইন্সটি। বন্ধ হয়ে যাওয়া এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে জিএমজি, রিজেন্ট ও ইউনাইটেড আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও চালাত।

Scroll to Top