বাংলার আয়না

সাংবাদিক রোজিনাকে সচিবালয়ে হেনস্তার পর মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
অনুমতি ছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের সরকারি নথির ছবি তোলার অভিযোগে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর শাহবাগ থানায় অফিশিয়াল সিক্রেট আইনের (১৯২৩) ৩ ধারায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (১৭ মে) রাত সাড়ে আটটার পরে শাহবাগ থানা পুলিশের একটি টিম সচিবালয় থেকে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে নিয়ে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, ‘গুরুত্বপূর্ণ’ নথিপত্রের ছবি তোলা ও সঙ্গে করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। তবে সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম দাবি করেছেন, সচিবের সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি পিএস সাইফুল ইসলামের রুমে অপেক্ষা করছিলাম, এসময় পিএস সাইফুল ইসলাম নথিপত্র গায়েবের অভিযোগ তুলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। একপর্যায়ে একজন পুলিশ কনস্টেবল ডেকে তার শরীরে হাত দেন। তাকে সাজানো অভিযোগে পিএস আটকে রাখে বলে দাবি করে তিনি বলেন, তিনি কোনো নথিপত্র নেননি।

প্রথম আলো সংবাদকক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। তাকে সেখানে একটি কক্ষে ৫ ঘন্টা আটকে রাখা হয় এবং তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ তা জানতে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনো বক্তব্য দেননি।

এ বিষয়ে, রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার সাজ্জাদুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে রোজিনাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে, উনি সরকরি গোপন নথি সরাচ্ছিলেন। উনার দেহ তল্লাশী করে নথি পাওয়া গেছে। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় অফিশিয়াল সিক্রেট আইনের (১৯২৩) ৩ ধারায় মামলা হয়েছে।

প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মোরসালিন নোমানী,, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মশিউর খান ফেসবুকে লেখেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের সঙ্গে স্বাস্থ্য সচিবের অফিস স্টাফদের অসদাচরণের তীব্র নিন্দা জানাই।’

Scroll to Top