নিজস্ব পতিবেদক
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার আগে দেশে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছিল। বঙ্গবন্ধু বাকশাল গঠন করেছিলেন। যা পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর হওয়ার কথা ছিল। সেই অস্থির সময়ে সারা দেশে মানুষের মধ্যে গুঞ্জন ছিল যে, দেশে ভয়ংকর কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে। এ খবর হত্যাকারীদের কানেও পৌঁছেছিল।
ফারুকের বোন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনই একটি গুঞ্জন শুনে এসে কর্নেল রশিদকে জানায়। সে শুনেছিল যে, দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটতে যাচ্ছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে সামরিক বাহিনীর তরুণ অফিসাররা। মেজর রশিদ ও ফারুকের বুঝতে কষ্ট হলো না যে খবর ফাঁস হচ্ছে। তারা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তারা খুব বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে সারা দেশে ত্রাসের সৃষ্টি করতে পেরেছিল।
মানুষের মনে এই অভ্যুত্থানের আতঙ্ক এমনভাবে ছড়ানো হয়েছিল যে, যখন সত্যিকার আক্রমণ এলো তখন তার প্রতিরোধ করার শক্তি মানুষের মধ্যে ছিল না। বঙ্গবন্ধুকে নৃশংসভাবে হত্যা করার পরে সারা দেশের মানুষ ভয়ানক আতঙ্কে স্থবির হয়ে পড়েছিল যেন।