বাংলার আয়না

সিত্রাং : সাহস নিয়ে মোকাবেলা প্রয়োজন

সিডর, আইলা, বুলবুল, আম্পান, ইয়াসের পর এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। ঘূর্ণিঝড় আইলার ও আম্পানের ক্ষয়-ক্ষতি এখন কাটিয়ে উঠতে পারিনি উপকূলীয় মানুষেরা। এর মধ্যেই ধেয়ে আসছে সিত্রাং। এর প্রভাবে রবিবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে ভোলা, পটুয়াখালী, ঝালকাঠি ও সাতক্ষীরাসহ উপকূলীয় এলাকার আকাশ রয়েছে মেঘাচ্ছন্ন। মাঝে মধ্যেই হালকা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সিত্রাং-এর আঘাত ও নদীতে পানি বৃদ্ধির আশঙ্কায় উপকূলীয় এলাকার মানুষের মাঝে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপকূলবাসী জানান, উপকূলীয় এলাকায় পাউবো’র বেড়িবাঁধগুলো নাজেহাল অবস্থায় আছে। ঝড়ের প্রবল আঘাত ও নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে আইলার মত আবারও উপকূলীয় জনপদ লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে উপকূলের হাজারো মানুষ। ভেসে যাবে কোটি কোটি টাকার চিংড়ি মাছ।

উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা বলেন, ঝড়ের পূর্বাভাস জানতে পেরে তাৎক্ষনিকভাবে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে মিটিং করা হচ্ছে। ঝড়ের আগে এবং পরে কি কি করতে হবে এবিষয় প্রতিনিধিদের দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে।

রবিবার সকালে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৪) এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিসহ জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কার কথা জানায় অধিদপ্তর।

এমতাবস্থায় মন্ত্রী, এমপি, রাজনীতিবিদ,সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা ও সর্বস্তরের জনগণকে সজাগ থাকতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে যাতে ক্ষয়ক্ষতি যতো কমিয়ে আনা যায়।

Scroll to Top